
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে আপত্তিকর কনটেন্ট অপসারণের দায়িত্বে থাকা বিটিআরসির ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা সেল’ এখন নতুন নামে পরিচিত হবে।
এর নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘ডিজিটাল অ্যান্ড সাইবার সেফটি ডাইরেক্টরেট’।
নাম পরিবর্তনের কারণ ও কাজের বিস্তৃতি
📌 বিটিআরসি জানিয়েছে, ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের জন্য কাজের পরিধি বাড়ায় নতুন নামটি আরও উপযোগী।
📌 আগের মতোই তারা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজিটাল কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করবে।
এই ডাইরেক্টরেট কীভাবে কাজ করে?
✅ রাষ্ট্রবিরোধী, সামাজিক মূল্যবোধ বিরোধী, পর্নোগ্রাফি, উগ্রবাদ, অনলাইন বেটিং বা জুয়া, ক্ষতিকর গেমস এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক কনটেন্ট অপসারণে কাজ করে।
✅ প্রতিদিন গড়ে ১৩০টির বেশি লিংক বা পোস্ট সরানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনুরোধ পাঠায়।
✅ সোশ্যাল মিডিয়া, ডোমেইন, অ্যাপ ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর অনিয়ম তদারকির জন্য কাজ করে।
তিন বছরে কী পরিমাণ কনটেন্ট সরানো হয়েছে?
📌 ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায়:
- ১,৪৯,৭০৪টি লিংক বা পোস্ট অপসারণের অনুরোধ পাঠানো হয়।
- এর মধ্যে ৫০,৫৯৫টি কনটেন্ট সরানো হয়েছে (৩৩.৮০% সাফল্য হার)।
📌 ওয়েবসাইট ও ডোমেইন:
- গত ৩ বছরে ৫,৬৪১টি ওয়েবসাইট ও ডোমেইন বন্ধ করা হয়েছে।
- বিশেষ করে বেটিং, জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অন্যান্য সাইবার অপরাধমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
📌 সাম্প্রতিক এক বছরে:
- ২,৩৮৭টি বেটিং বা জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ।
- ২৬৭টি অ্যাপ বন্ধের অনুরোধ, ১০৬টি বন্ধ।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ৯,৬৭২টি পোস্ট বন্ধের অনুরোধ, ৮,২১৩টি সরানো।
- ১৮৮০টি পর্নোগ্রাফি ও আপত্তিকর ওয়েবসাইট বন্ধ।
নাম পরিবর্তন হলেও কাজের পরিধি আরও বাড়ছে
🚀 বিটিআরসি জানিয়েছে, এখন অনলাইন ব্যবহারকারী বেড়ে যাওয়ায় সাইবার অপরাধও দ্রুত বাড়ছে।
🚀 এই কারণে ‘ডিজিটাল অ্যান্ড সাইবার সেফটি ডাইরেক্টরেট’ জনবল বৃদ্ধি করেছে এবং আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
📢 আপনার মতামত কী? বিটিআরসির এই কার্যক্রম কি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে? কমেন্টে জানান!
📢 প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তার আপডেট জানতে TalkBarta-এর সাথেই থাকুন! 🚀