
বাংলাদেশে ওটিটি ভিডিও অন-ডিমান্ড ও স্ট্রিমিং সেবা পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বাংলালিংকের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম টফি। তবে এটি পেতে হবে নির্দিষ্ট ছয়টি শর্তের ভিত্তিতে, এবং এক বছর পর এই অনুমোদন নবায়ন করতে হবে।
বর্তমানে দেশে ওটিটি স্ট্রিমিং পরিষেবার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালা নেই। যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিটিআরসি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি ওটিটি বিধিমালা তৈরির কাজ করছে, তবে সেটি কবে চূড়ান্ত হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে বিটিআরসি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যখনই নতুন ওটিটি নীতিমালা কার্যকর হবে, সেটির সব শর্তই টফির অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ওটিটি পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা
বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট স্ট্রিমিং সেবা দিয়ে আসছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না থাকায় বিভিন্ন সময় এই পরিষেবাগুলোর কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলের শুরুতে হঠাৎ করেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লিনিয়ার টিভি স্ট্রিমিং বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে ওটিটি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউটর বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি। বিটিআরসি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।
টফির বর্তমান অবস্থান
বাংলালিংকের তথ্য অনুযায়ী, টফির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। এই প্ল্যাটফর্মে লাইভ টিভি চ্যানেল, বাংলা নাটক ও সিনেমা, আন্তর্জাতিক সিনেমা ও টিভি শো, সরাসরি ক্রিকেট ও ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলা, কার্টুন এবং আরও নানা ধরনের কনটেন্ট স্ট্রিমিং করা হয়।
বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার, তাইমুর রহমান জানিয়েছেন, “আমরা এখনো বিটিআরসি থেকে টফির NOC (No Objection Certificate) পাইনি, তবে খুব শীঘ্রই এটি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। এনওসি পাওয়ার মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত গ্রাহকরা লাইভ টিভি সম্প্রচারসহ অন্যান্য কনটেন্ট স্ট্রিমিং সেবা নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারবেন।“
অনুমোদনের শর্তাবলি
বিটিআরসির দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, টফির মাধ্যমে কোনো ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রবিরোধী বা সামাজিক অবক্ষয়মূলক কনটেন্ট সম্প্রচারিত হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার বাংলালিংককে নিতে হবে।