Home » Blog » ৩০ হাজার স্কুলে হবে স্মার্ট ক্লাস রুম; জাতীয় শিক্ষাক্রম পোর্টাল উদ্বোধন

৩০ হাজার স্কুলে হবে স্মার্ট ক্লাস রুম; জাতীয় শিক্ষাক্রম পোর্টাল উদ্বোধন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে, যুগোপযোগী স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম ও হাইব্রিড প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যা স্মার্ট শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে একটি বড় মাইলফলক হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠবেন বিশ্লেষণধর্মী, সংবেদনশীল, আত্মপ্রত্যয়ী ও আধুনিক নাগরিক।

by admin
০ comment

শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) জাতীয় শিক্ষাক্রম পোর্টাল এবং বিষয়ভিত্তিক অনলাইন প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা মূল্যায়ন অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়। দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে এই উদ্যোগের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানটিতে জানানো হয়, ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শেষে অক্টোবর থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে হাইব্রিড পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। সঞ্চালনা করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে, যুগোপযোগী স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম ও হাইব্রিড প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যা স্মার্ট শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে একটি বড় মাইলফলক হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠবেন বিশ্লেষণধর্মী, সংবেদনশীল, আত্মপ্রত্যয়ী ও আধুনিক নাগরিক।

মহিবুল হাসান উল্লেখ করেন, ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের তথ্য-প্রযুক্তি সরঞ্জাম নেই। আমরা একটি তালিকা তৈরি করেছি এবং ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপনের জন্য অনুদান প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা পাঁচ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, টিচার্স গাইডগুলোর অডিও ভিজ্যুয়াল সংস্করণ থাকবে। কিছু চ্যালেঞ্জ আছে এবং সময়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, আমরা খুব শিগগিরই অডিও ভিজ্যুয়াল নমুনা প্রতিটি ক্লাসে দিতে পারবো, যা শিক্ষার্থী, বাবা-মা ও শিক্ষকদের জন্য উপকারি হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, এই বছরের শেষে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম একটি করে ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে দেওয়া।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের পুরস্কৃত করার জন্য শিগগিরই একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সারা দেশের শিক্ষকরা এতে অংশ নিতে পারবেন এবং বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হবে- শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে কত ভালোভাবে এবং সহজে পাঠদান করতে পারেন তার ওপর। শিক্ষকরা পাঠদানের ভিডিও তৈরি করে জমা দেবেন।

আরও পড়ুন:  হোস্টএভার স্পনসর হলো আইসিএএনএন আউটরিচ প্রোগ্রাম, ঢাকা, বাংলাদেশ এ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর বিতরণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু সমাধান দিয়ে দেওয়া শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সঠিক পদ্ধতি নয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো এই কাজগুলো না করে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এনসিটিবির সদস্য প্রফেসর মো. মোখলেস উর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর এর অধ্যাপক ও এনসিটিবির জাতীয় শিক্ষাক্রম বিষয়ের প্রধান পরামর্শক ড. এম. তারিক আহসান বিষয়ভিত্তিক অনলাইন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরিটাস ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

SHARE

You may also like

Leave a Comment

About Us

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত