অর্থ প্রতিমন্ত্রী : সরকার প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করছে বাণিজ্য ডিজিটালাইজড করতে

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য প্রধান দেশ। ক্রস-বর্ডার ট্রেড ও পেমেন্ট ট্রেডের জন্য আমাদের ডিজিটালাইজেশন অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। আইসিসি বাংলাদেশের আজকের ওয়ার্কশপ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী : সরকার প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করছে বাণিজ্য ডিজিটালাইজড করতে

দেশের বাণিজ্য আরও বেশি ডিজিটালাইজড করতে সরকার প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, জাতিসংঘের পঞ্চম ডিজিটাল ও টেকসই বাণিজ্য সুবিধা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত পেপারলেস বাণিজ্য প্রসারিত করতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবস্থা আরো বেশি ডিজিটালাইজেশনের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংগঠন এবং অন্যান্য অংশীজনের পরামর্শ নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইন সংসদে পাস হবে।

সোমবার (৮ জুলাই) হোটেল রেনেসাঁয় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ’ ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য প্রধান দেশ। ক্রস-বর্ডার ট্রেড ও পেমেন্ট ট্রেডের জন্য আমাদের ডিজিটালাইজেশন অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। আইসিসি বাংলাদেশের আজকের ওয়ার্কশপ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি, বিকাশ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রথাগত বাণিজ্যের সঙ্গে অনেক কাগজের ডকুমেন্টস এবং প্রক্রিয়া জড়িত। ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টস দ্রুত প্রেরণ, যাচাই এবং যেকোনো স্থান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে। যা ব্যবসায়ের খরচ ও সময় কমাবে। এর ফলে লেনদেন দ্রুত এবং নিরাপদ হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নভেম্বর ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। যার ফলে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের নির্বিঘ্নে সেবাদানের উদ্যোগ নিয়েছে।

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, ইউএনস্কাপের পরিচালক রুপা চন্দ ও আইটিএফসির রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ. রুমী আলী। সমাপনী বক্তব্য রাখেন স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশের চিফ এক্সিকউটিভ অফিসার নাছের এজাজ বিজয়।

আরও পড়ুন:  গ্রামীণফোনে বিভ্রাট কেটেছে

ওয়ার্কশপে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি ডিজিটাল স্টান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভের পামেলা মার এবং তিয়ানমি স্টিলফেন। ওয়ার্কশপে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

SHARE

সব খবর

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।