মাঠে বা বাসে বসে মোবাইলে টিভি দেখতে না পারা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মতোই প্রশ্ন আছে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারীর। তিনি মনে করেন, এই বিষয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘টেলিকম খাতের ইকোসিস্টেম পুনর্বিবেচনা’ নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মতামত জানান।
মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, “আমি ক্যাবল দিয়ে ইন্টারনেট ও ভয়েস কমিউনিকেশন দিতে পারি, এমনকি টেলিভিশনও দিতে পারি। কিন্তু এখনও টিভির নিয়ন্ত্রণ তথ্য মন্ত্রণালয়ের এবং ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ বিটিআরসির হাতে রয়েছে। তবে অনেক বাসায় একাধিক ক্যাবল সংযোগের প্রয়োজন হয়। এখন সময় এসেছে এই সেবাগুলোর সমন্বয়ে একটি নতুন বিজনেস মডেল তৈরি করার।”
তিনি আরও বলেন, “মাঠে বা বাসে বসে মোবাইলে খেলা দেখা এখন টেকনিক্যালি সম্ভব, তাহলে গ্রাহকদের এই সুবিধা না পাওয়ার কারণ কী? এটা তাদের অধিকার। তবে মনে হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মোবাইলে টিভি দেখায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যা নতুনভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।”
বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের কাছে বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন কনটেন্ট যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব থাকে, যা সাধারণত সিঙ্গাপুর বা ভারত থেকে আসে। আমাদের দেশে এসব ডেটা সেন্টার স্থাপনে বারবার বিনিয়োগের নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠে। এই নিরাপত্তা ও নীতিমালার বিষয়গুলো সমাধান করতে না পারলে এটি কেবল ‘কেমোথেরাপি’ হবে; দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।”
এমদাদ উল বারী আরও বলেন, “আমরা যেন ধরপাকড়ের মনোভাব থেকে বেরিয়ে সেবাকে আরও কার্যকর করতে পারি এবং ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।”
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. রোকনুজ্জামান। অনুষ্ঠানে টেলিকম খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, মোবাইল অপারেটর, এবং খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।