বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (আইক্যান) আউটরিচ প্রোগ্রামটি। এই প্রোগ্রামটি স্পনসর করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান হোস্টওরিয়েন্ট (HostOrient)। প্রোগ্রামটির মূল উদ্দেশ্য ডোমেইন নাম ব্যবস্থাপনা, ইন্টারনেট সিকিউরিটি এবং ইন্টারনেট গভর্নেন্স বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করবেন দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, ডোমেইন রেজিস্ট্রার, আইটি বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষার্থীরা। আয়োজনে বক্তারা ডোমেইন নাম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া, ডোমেইন নিরাপত্তা, ডোমেইন ডিসপিউট রেজল্যুশন এবং গ্লোবাল ইন্টারনেট গভর্নেন্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এছাড়াও ইন্টারনেট সিকিউরিটির ওপর বিশেষ সেশন ছিল যেখানে সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা প্রটেকশন এবং প্রাইভেসি নিয়ে আলোকপাত করা হবে।
প্রোগ্রামের বিশেষ আকর্ষণ:
- কী-নোট স্পিচ: আইক্যান এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং দেশের বিশিষ্ট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কী-নোট স্পিচ প্রদান করবেন। তারা বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন।
- ওয়ার্কশপ: প্রোগ্রামে বিভিন্ন ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।
- প্যানেল ডিসকাশন: প্যানেল ডিসকাশনে প্রযুক্তি খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করবেন এবং ডোমেইন ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি বিষয়ে তাদের মতামত এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
হোস্টওরিয়েন্ট এর ভূমিকা:
হোস্টওরিয়েন্ট দেশের অন্যতম প্রধান ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিষ্ঠানটি ডোমেইন, হোস্টিং, ক্লাউড সার্ভিসেস এবং সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
হোস্টওরিয়েন্ট এর সিইও মোঃ আবু বক্কর (MD Abu Bakkar) বলেন:
“আমাদের জন্য এটি একটি গর্বের বিষয় যে, হোস্টওরিয়েন্ট এই ধরনের একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রোগ্রাম স্পনসর করতে পেরেছে। ডোমেইন নাম ব্যবস্থাপনা এবং ইন্টারনেট সিকিউরিটি উন্নয়নে আমাদের দেশের জন্য এটি একটি মাইলফলক হতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আমরা সকলকে এই বিষয়ে সচেতন হতে এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাতে উৎসাহিত করছি।
হোস্টওরিয়েন্ট সবসময় দেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও করবে। আমরা চাই আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করুক।”
প্রোগ্রামটির শেষ পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত শেয়ার করবেন। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা এবং সিকিউরিটি খাতে নতুন একটি অধ্যায় সূচিত হবে।