বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্পন্ন করছেন। তিনি আমাদের সবকিছু দিয়ে যাচ্ছেন। সিংড়ায় স্কুল কলেজের নতুন ভবন, রাস্তা, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ সবকিছুই উপহার দিয়েছেন। গত ১৫ বছরে পিছিয়ে পড়া কাঁদাখুচা চলনবিলকে উন্নয়নের উদাহরণে পরিণত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
শনিবার (১৫ জুন) নাটোরের সিংড়ায় মুজিব কিল্লা নির্মাণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে খেলার মাঠ, আশ্রয়কেন্দ্র, ক্লাস করার জায়গা নিয়ে পুরো রাজশাহী বিভাগে প্রথম দুটি মুজিব কিল্লা স্থাপিত হতে যাচ্ছে, দুটিই সিংড়ায়। ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চলনবিল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিএডিসির মাধ্যমে সিংড়ায় ফসল সংগ্রহ ও মজুদ কেন্দ্র এবং মাড়াই কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে যার ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার মেট্রিক টন। তিনতলা মুজিব কেল্লাটি নির্মাণ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এই কেল্লার মাধ্যমে বন্যাসহ দুর্যোগকালীন সময়ে চলনবিলের ৮১৫ জন মানুষ ও ১ হাজার ৬০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে।
এদিকে কেল্লার দুই হাজার বর্গফুট কমিউনিটি স্পেসে বন্যার সময় হাট-বাজার বসতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আমি আমার চলনবিলের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আপনারা আমাকে সুযোগ দিন, আমি নিজেকে সংশোধন করব, এলাকার রাজনীতিকে শুদ্ধ করব, এবং ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ৩০০ কিলোমিটার খাল খনন করে দিয়েছেন, সেই খাল দখলমুক্ত রাখার জন্য ‘জাল যার জলা তার’ নীতি অনুসরণ করে স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে অভিযান চলমান আছে। চলনবিলের খালে বা নদীতে কোনো অবৈধ দখলদার মাছ চাষ করতে পারবে না।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ক্লিনিক থেকে ৩৪ রকমের ওষুধ সাধারণ মানুষকে দেওয়া হতো পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এসে তা বন্ধ করে দেয়। হাজার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক অকেজো হয়ে পড়ে। তারা ভয় পেলেন এ ক্লিনিক থেকে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেলে যদি পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন। সেই আশঙ্কায় তারা পুরো প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা’র সভাপতিত্বে বিএডিসি নাটোর রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা আ. লীগের সভাপতি এড. ওহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজি, ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ডাহিয়ায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফসল সংগ্রহ ও মজুদ কেন্দ্র এবং থ্রেশিং ফ্লোর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।