বিজ্ঞাপনদাতারা ফোনে কান পাতছে?

"৪০৪ মিডিয়া" এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর, গুগল তাদের "পার্টনারস প্রোগ্রাম" থেকে কক্স মিডিয়া গ্রুপকে সরিয়ে নিয়েছে। গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের বিজ্ঞাপন নীতি লঙ্ঘন করলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে, মেটা জানিয়েছে যে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং কোনোভাবেই মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কথাবার্তা শোনার প্রক্রিয়ায় জড়িত নয়।

বিজ্ঞাপনদাতারা ফোনে কান পাতছে?

সম্প্রতি, স্মার্টফোনে কথোপকথনের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। অনেকেই খেয়াল করেছেন, ফোনে কোনো পণ্য নিয়ে আলোচনা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই পণ্যের বিজ্ঞাপন ফোনে ভেসে ওঠে। এটি কি কাকতালীয়, নাকি আমাদের কথাবার্তা শোনা হচ্ছে? এই প্রশ্ন বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যবহারকারীদের মনে ঘুরছে। সম্প্রতি একটি বৃহৎ বিপণন সংস্থা এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে, যেখানে ফেসবুক, অ্যামাজন, এবং গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে।

সংস্থাটি স্বীকার করেছে যে, স্মার্টফোনে ব্যবহারকারীদের কথোপকথন শোনা হচ্ছে, এবং সেই তথ্য সংগ্রহ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়।

“কক্স মিডিয়া গ্রুপ” নামে একটি কোম্পানি, যারা বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে, জানিয়েছে যে তারা “অ্যাকটিভ লিসেনিং” নামক একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কথোপকথন শোনে। এই প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ব্যবহারকারীদের আগ্রহের বিষয়গুলি শনাক্ত করে এবং সেগুলির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন দেখায়। এই তথ্যটি “টিভি৯” এর মাধ্যমে জানা গেছে।

“৪০৪ মিডিয়া” এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর, গুগল তাদের “পার্টনারস প্রোগ্রাম” থেকে কক্স মিডিয়া গ্রুপকে সরিয়ে নিয়েছে। গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের বিজ্ঞাপন নীতি লঙ্ঘন করলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে, মেটা জানিয়েছে যে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং কোনোভাবেই মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কথাবার্তা শোনার প্রক্রিয়ায় জড়িত নয়।

এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও নিউ হ্যাম্পশায়ারের “মাইন্ডসিফ্ট” সংস্থা একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিল, যা নতুন করে বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে।

SHARE
আরও পড়ুন:  বিটিআরসি চেয়ারম্যান সেবা খাতে নতুন বিজনেস মডেল চান

সব খবর

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।