জিপি-কে শোকজ, কলড্রপ নিয়ে প্রতিবেদন দিতে ৩ সপ্তাহ সময় পেলো বিটিসিএল, টেলিটক, টেশিস ও ডাক বিভাগ

পলক জানান, টেস্ট ড্রাইভের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে ৩০ জুন আমরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি। বৈঠকে ৪টি এমএনও-কে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলাম। ক্লোজড ডোর বৈঠকে আমরা তাদের বরাদ্দকৃত তরঙ্গ কম ব্যবহারের বিষয়টি দেখিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার টাওয়ার কম থাকার বিষয়টি উল্লেখ করছে। অথচ বর্তমান টাওয়ারগুলোতে বরাদ্দকৃত তরঙ্গ ব্যবহার করছে না। তারা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার এবং বিনিয়োগ করছে না। আমরা এটা চিহ্নিত করেছি। বরাদ্দ ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন তারা তা করেনি, এ বিষয়ে আমরা বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। জবাবে তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে তাদের জরিমানা করার সুযোগ রয়েছে। তাই আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, আমরা প্রথমে গ্রামীণফোনকে শো-কজ করেছি। অন্য অপারেটরদের বিশ্লেষণ চলছে। তারা সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারলে এবারের মতো মাফ পাবে। না হলে বিটিআরসি ১-৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করতে পারে।

জিপি-কে শোকজ, কলড্রপ নিয়ে প্রতিবেদন দিতে ৩ সপ্তাহ সময় পেলো বিটিসিএল, টেলিটক, টেশিস ও ডাক বিভাগ

বরাদ্দকৃত তরঙ্গ সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করছে না দেশের শীর্ষ মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। কিন্তু কলড্রপ নিয়ে নিয়মিত অভিযোগ পাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিটিআরসি ভবনে টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে ক্লোজডোর বৈঠকও হয়েছে।

কিন্তু সমস্যা সমাধান না হওয়ায় অপারেটরটিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার আইসিটি বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি জানান, গত ১ জুলাই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অপারেটরদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এজন্য দুটি ড্রাইভটেস্ট গাড়ি দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ শুরু করেছে। টেস্টে ত্রুটির কারণ সম্পর্কে সন্তোষজনক উত্তর না দিতে পারলে বড় ধরনের জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে অপারেটরটি।

পলক জানান, টেস্ট ড্রাইভের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে ৩০ জুন আমরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি। বৈঠকে ৪টি এমএনও-কে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলাম। ক্লোজড ডোর বৈঠকে আমরা তাদের বরাদ্দকৃত তরঙ্গ কম ব্যবহারের বিষয়টি দেখিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার টাওয়ার কম থাকার বিষয়টি উল্লেখ করছে। অথচ বর্তমান টাওয়ারগুলোতে বরাদ্দকৃত তরঙ্গ ব্যবহার করছে না। তারা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার এবং বিনিয়োগ করছে না। আমরা এটা চিহ্নিত করেছি। বরাদ্দ ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন তারা তা করেনি, এ বিষয়ে আমরা বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। জবাবে তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে তাদের জরিমানা করার সুযোগ রয়েছে। তাই আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, আমরা প্রথমে গ্রামীণফোনকে শো-কজ করেছি। অন্য অপারেটরদের বিশ্লেষণ চলছে। তারা সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারলে এবারের মতো মাফ পাবে। না হলে বিটিআরসি ১-৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করতে পারে।

এদিকে, ৩০ জুনের মধ্যে বিটিসিএল, টেলিটক, টেশিস ও ডাক বিভাগ আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ২ সপ্তাহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের আয়-ব্যয়ের তথ্য পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডাক বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের চাকরিচ্যুত করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্মার্ট টেলিকম ও আইসিটি খাত গড়ে তুলতে সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে পারছে না, সেগুলোকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালনার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা হবে।

SHARE
আরও পড়ুন:  ইউএস-বাংলার ফুডি অনলাইনে খাবার ডেলিভারি শুরু করলো

সব খবর

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।