সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট অধিকার নিশ্চিত করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ পাস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে একটি নতুন সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ

সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট অধিকার নিশ্চিত করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ পাস

টকবার্তা নিউজরুম:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে একটি নতুন সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, যেখানে নাগরিকদের সার্বক্ষণিক ইন্টারনেটের অধিকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশের ২(ব) ধারা অনুসারে এখন থেকে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তি সাইবার নিরাপত্তার অংশ হিসাবে গণ্য হবে। বহুল আলোচিত আগের সাইবার আইনটি বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্তের পরেই মঙ্গলবার এই অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাইবার বুলিংকে এখানে আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “নতুন এ অধ্যাদেশে সাইবার জগৎকে সবার জন্য নিরাপদ করতে সরকারের দায়িত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, আগে বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা আইনটি এতটাই বিতর্কিত ছিল যে সেটি প্রয়োগ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে নীতি-উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ফায়েজ আহমদ তৈয়ব টেকশহর ডটকমকে বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনলাইন জগত, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। নারীদের এবং শিশুদের সুরক্ষার পাশাপাশি সাইবার বুলিং ঠেকানো এই নতুন আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।” তিনি আরও বলেন, “নতুন যে কোনো আইনের মতোই এর অপপ্রয়োগ ঠেকাতে সচেতনতা এবং সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। এখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনজীবী, বিচারব্যবস্থা ও জনসাধারণের সম্মিলিত উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ।”

ফায়েজ আহমদ তৈয়ব আরও উল্লেখ করেন, “সাইবার অপরাধে অভিযুক্তদের সুরক্ষার ব্যাপারে আইনটিতে বেশ কিছু নতুন ধারা রয়েছে। যেমন, বিচারক চাইলে তদন্ত শুরুর আগেই মামলা খারিজ করে দিতে পারবেন, তদন্ত কর্মকর্তার যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও আপত্তি তোলার সুযোগ রাখা হয়েছে, গ্রেফতার বা জব্দের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতকে জানাতে হবে। আগের আইনের চেয়ে সাজার মেয়াদও অনেক কমানো হয়েছে, আর সাইবার অপরাধে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি যৌক্তিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে।”

নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার সাইবার জগতকে আরও নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদ করার উদ্যোগ নিল। তবে এর সঠিক বাস্তবায়ন এবং অপব্যবহার রোধে সামাজিক সচেতনতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আইনগত সহায়তার সমন্বয় যে অপরিহার্য, সে বিষয়েও বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন।

SHARE
আরও পড়ুন:  প্রতিটি স্কুলে হবে কম্পিউটার ল্যাব; আমরাও একদিন চাঁদে যাবো : প্রধানমন্ত্রী

সব খবর

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।