ফি দিয়ে অব্যবহৃত সিমের মেয়াদ বাড়ানো যাবে। এর ফলে, কোনো গ্রাহক তার অব্যবহৃত সিম নিজের নামে আরও দীর্ঘসময় ধরে রাখতে পারবেন, যা পুনরায় বিক্রি বা রিসাইক্লিংয়ের সময় পেরিয়ে যাবে। তবে সাধারণভাবে সিম অব্যবহৃত রাখার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে এই মেয়াদ ছিল ৫৪০ দিন, যেখানে গ্রাহকদের জন্য ৯০ দিনের নোটিশ পিরিয়ড ছিল। এখন রিসাইক্লিংয়ের জন্য সময়সীমা করা হয়েছে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন, এবং নোটিশ পিরিয়ড কমিয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে।
মোবাইল অপারেটরদের আবেদনের পর বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও অপারেটররা চেয়েছিল মেয়াদ ৩৯৫ দিন করা হোক। বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলেছেন, সিম নম্বর একটি জাতীয় সম্পদ, যা দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলে সরকারের রাজস্ব এবং অপারেটরদের আয় কমে যায়। পাশাপাশি নতুন নম্বর বণ্টনে চাহিদার চাপ বাড়ে।
গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেয়াদ কমানোর দাবি তারা বহুদিন ধরে করে আসছেন, কারণ অধিকাংশ দেশে সিম এত দীর্ঘসময় অব্যবহৃত থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে এই মেয়াদ ৯০ দিন, ভারতে ১০৫ দিন, মালেশিয়ায় ৬০ দিন এবং পাকিস্তানে ১৮০ দিন।
সিম অব্যবহৃত রাখার বাড়তি মেয়াদ কিনতে ফি:
নতুন রিসাইক্লিং সময়সীমা অনুযায়ী, সিম ১১ মাসের পরও অব্যবহৃত রাখতে চাইলে, ২ বছরের জন্য ফি হবে ৩০০ টাকা (করসহ)। যদি ৩ বছরের মেয়াদ চান, তাহলে ফি হবে ৪৭৫ টাকা (করসহ)। তবে মেয়াদ বৃদ্ধির এই ফি’র সঙ্গে কোনো ডেটা বা কল অফার যুক্ত থাকবে না।
মেয়াদ বাড়ানোর সময়ের মধ্যে যদি গ্রাহক রিচার্জ করেন, তবে ফি দিয়ে বাড়ানো মেয়াদ বা রিচার্জের মেয়াদ – যেটি বেশি হবে, সেই সময় পর্যন্ত অপারেটররা সিম রিসাইক্লিং করতে পারবে না।