উপদেষ্টা নির্দেশ দিলেন দুর্নীতিমুক্ত বিটিসিএল গড়ে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে

উপদেষ্টা বলেন, বিটিসিএলের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে, তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় যেন দুর্নীতি না হয় এবং ক্রয় প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকে, সেজন্য বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, অডিট আপত্তির বিষয়গুলো দায়ীদের কাছ থেকে সমাধান করে নিষ্পত্তি করতে হবে।

উপদেষ্টা নির্দেশ দিলেন দুর্নীতিমুক্ত বিটিসিএল গড়ে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে

বিটিসিএলের প্রকল্পগুলিতে ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অনিয়ম দূর করা এবং বিদ্যমান মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করার ওপর জোর দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম। পাশাপাশি, তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও সাশ্রয়ী মূল্যে বিটিসিএলের সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় বিটিসিএলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা প্রথমবারের মতো বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের সাথে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

উপদেষ্টা বলেন, বিটিসিএলের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে, তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় যেন দুর্নীতি না হয় এবং ক্রয় প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকে, সেজন্য বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, অডিট আপত্তির বিষয়গুলো দায়ীদের কাছ থেকে সমাধান করে নিষ্পত্তি করতে হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকার জনগণের কাছে সেবা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, তবে কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে তা সবসময় সম্ভব হচ্ছে না। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দুর্নীতিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

বিটিসিএলের আলাপ এবং জিপন সেবাগুলির ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন। আলাপ অ্যাপ্লিকেশনটি লাভজনক হতে পারত, কিন্তু তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। একইভাবে, জিপন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবারও প্রচারণা দরকার বলে তিনি জানান।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান এসময়ে বলেন, জনগণকে সমতার ভিত্তিতে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার এবং সেবা প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে হবে, যাতে মানুষ সহজে সেবা পেতে পারে।

SHARE
আরও পড়ুন:  সাড়ে ৫ কোটি টাকা পুরস্কার নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দিলে!

সব খবর

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।