বন্যা আক্রান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি। ফেনী ও কুমিল্লাসহ অন্যান্য বন্যা কবলিত অঞ্চলের জনগণের সাথে টেলিযোগাযোগ অব্যাহত রাখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারসমূহ দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায় যে তারা একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে, যা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এই কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিটিআরসি, বিটিসিএল, এবং টেলিটক থেকে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
সকাল ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী, বন্যায় আক্রান্ত ১১টি জেলায় ৬ হাজার ৯৮৬টি সাইটের মধ্যে ৫ হাজার ৪৭৬টি সাইট সক্রিয় রয়েছে। বর্তমানে অচল টাওয়ারগুলোর হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। ফেনী এবং খাগড়াছড়ি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। অচল টাওয়ারগুলো দ্রুত সচল করতে কাজ চলছে।
বন্যা কবলিত অঞ্চলের জনগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহযোগিতায় ১০টি ভিস্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ৫টি ভিস্যাট ফেনী জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সকল মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানিগুলিকে বিটিআরসি নির্দেশনা দিয়েছে যাতে তারা মোবাইল টাওয়ারগুলো সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
টেলিকম অপারেটরদের সাইট সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে। টেলিকম অপারেটরদের নিজেদের নেটওয়ার্ক সেবা অটুট রাখতে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ ব্যাটারি, ডিজেল জেনারেটর, এবং পোর্টেবল জেনারেটর ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের সহায়তায় বন্যা কবলিত এলাকায় মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৫০০ মেগাবাইট ডেটা ফ্রি প্রদান করা হয়েছে।