ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্টফোন উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রতিষ্ঠানটির হাজার হাজার কর্মী বর্তমানে ধর্মঘট শুরু করেছেন। গতকাল সোমবার থেকে এই ধর্মঘট চলছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির ৫৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এত বড় আকারের ধর্মঘট সংঘটিত হয়েছে। খবর এবিপি।
বিভিন্ন দাবিতে স্যামসাংয়ের কর্মীরা এই ধর্মঘট করেছেন। এর আগে জুন মাসেও ১ দিনের জন্য ধর্মঘট করেছিল স্যামসাংয়ের কর্মীরা। তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়ায় বিষয়টি আরও বড় আকার ধারণ করে। ফলে আবার নতুন করে কর্মীরা ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন। এবার ৩ দিনের ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে কর্মীরা। স্যামসাং কোম্পানির ৫৫ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ধর্মঘট হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কর্মীদের এই ধর্মঘট স্যামসাংয়ের সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যামসাংয়ের কর্মীদের এই ধর্মঘট কোম্পানির সবচেয়ে উন্নত চিপের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
ইউনিয়নের লক্ষ্য হোয়াসিয়ং অঞ্চলে স্যামসাংয়ের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টের বাইরে ৫ হাজার লোককে জমায়েত করা। এই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। কতজন কর্মী চাকরি ছেড়ে দিতে যাচ্ছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তিন দিনের এই ধর্মঘটের কারণে চিপ উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
স্যামসাংয়ের কর্মীরা মূলত তাদের বেতন এবং ছুটির দিন নিয়ে অসন্তুষ্ট। স্যামসাংয়ের ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়নের ২৮ হাজারেরও বেশি সদস্য জানিয়েছেন যে, বেতন স্কেল নিয়ে বহু আলোচনা হলেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। গত বছর চিপ ইউনিটে কর্মরত ব্যক্তিদের ব্যবসায় ক্ষতি দেখিয়ে বোনাস দেওয়া হয়নি। ফলে অসন্তোষের মূল কারণ এটি।