পলক : স্মার্ট এন্টারটেইনমেন্টকে ক্রিয়েটিভ ইকোনোমির অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই

রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে ‘ক্যামেরায় গাঁথি স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত ‘শান্তি চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শান্তি, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সমমর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে স্মার্ট চলচ্চিত্রের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন পলক।

পলক : স্মার্ট এন্টারটেইনমেন্টকে ক্রিয়েটিভ ইকোনোমির অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই

প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যখন তার দৈনন্দিন কাজ করছে, তখন কিছু হিংসাত্মক মনোভাব তাত্ক্ষণিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের জাতিসত্ত্বার মধ্যে বিভেদ, সহিংসতা এবং ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্য সাইবার বুলিং-এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। এজন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া ডিজিটাল পিস মুভমেন্টকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম উপাদান স্মার্ট এন্টারটেইনমেন্ট ও মিডিয়া। সেজন্য আমরা ফিউচার এনিমেটেড অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইকোনমি (ফেস অব স্মার্ট বাংলাদেশ) প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পে কিছু এআই টুলস ব্যবহার করে এনিমেশন শিল্পের বিকাশ ঘটানো হবে। ভবিষ্যত স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট এন্টারটেইনমেন্টকেও আমরা ক্রিয়েটিভ ইকোনমির অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে ‘ক্যামেরায় গাঁথি স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত ‘শান্তি চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শান্তি, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সমমর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে স্মার্ট চলচ্চিত্রের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন পলক।

নাট্যজন রোকেয়া প্রাচীর সঞ্চালনায় এবং বিসিসি নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শীলা তাসনিম হক, এটুআই প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ, ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিপা হাফিজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আইসিটি সচিব বলেন, স্মার্ট নাগরিককে দক্ষ হওয়ার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হতে হবে। এই দুটি গুণ থাকলেই তার কাছ থেকে আমরা শান্তি পেতে পারি। এদের মাধ্যমেই আমরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

১৬০টি ছবির মধ্যে ২৫টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। ফিকশনে আত্মিক, মিরাকল ইন হ্যাভেন, ফ্রেগরেন্স, হুঁশ, এ নাইট টেইল, সদয় ফকিরের পাঠশালা; নুঅইন, হিউম্যান, নন্দিত নরকে, বেনিয়ান, মরিচীকা, রংপিন্সল, এন্টিটি, চৈতন্য, স্লিপস অব মাইন্ড; ভিডিও কন্টেন্টে ম্যাসেঞ্জার, দানবাক্স, অগ্রগামিনী, চাকরি নাই, হাসি, স্ক্রিপ্টে বর্ণমালা, বিফর দ্য বিগিনিং, উধাও।

SHARE
আরও পড়ুন:  বাংলাদেশেই হয় অ্যাপল, মেটা, গুগল মাইক্রোসফটের চিপ ডিজাইন

সব খবর

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।