টকবার্তা ঢাকা, জুলাই ৪, ২০২৪: ইক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ২০২৪-২০২৬ নির্বাচনে পরিচালকের পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সৈয়দ উছওয়াত ইমাম। ইক্যাব নির্বাচনে তার প্রার্থিতার ঘোষণা দেশের ই-কমার্স খাতে নতুন দিকনির্দেশনা ও উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
সৈয়দ উছওয়াত ইমাম ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন ২০১৪ সাল থেকে। তবে তাঁর চাকরি জীবন শুরু হয়েছে আরোও ৫ বছর আগে ২০০৯ সালে। প্রাইম ব্যাংক থেকে শুরু করে যেমন বিদেশী কোম্পানি হুয়াওয়ে, বিক্রয় ডট কম এর “হেড অফ ফাইনান্স”, এখানেই ডট কম এর “ফাইনান্স ম্যানেজার” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি পরবর্তীতে দেশী গ্রুপ অফ কোম্পানি “পান্ডুঘর” এ ফাইনান্স ম্যানেজার এবং তাদের একটি ই-কমার্স সহ ৪টি প্রতিষ্ঠানের হেড অফ একাউন্টস এবং একটি কুরিয়ার কোম্পানির বিজনেস হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ভাইয়া গ্রুপের কুরিয়ার কোম্পানি প্রভাতী কুরিয়ারে যোগদান করেন “প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা” হিসেবে। সেখানে দুই বছরের কিছু বেশি সময় কাজ করার পরে ইমাম তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠান “এক্সপ্রেস ইন টাউন লিঃ” প্রতিষ্ঠা করেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে।
জনাব ইমাম ব্যবসায়িক জীবনের বাইরে “স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর স্টুডেন্টস” নিয়ে কাজ করছে এরকম দুইটা সংগঠনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত আছেন – “এক্সেলেন্স বাংলাদেশ” এবং “এনইউএসডিএফ (NUSDF)”। তিনি সেখানে উপদেষ্টা এবং ট্রেইনার হিসেবেও স্টুডেন্টদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে ইমাম প্রতিনিয়ত কাজ করে জাচ্ছেন। গত ৪ বছরে বিভিন্ন জেলায় তিনি বিভিন্ন সংগঠনের হয়ে ট্রেনিং দিয়েছেন।
সৈয়দ উছওয়াত ইমাম এই মুহূর্তে ই-ক্যাবের “এফ কমার্স অ্যালায়েন্স ফোরাম” এর কো–চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি বেসিস, কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সর্বচ্চো ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এর গ্লোবাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি হলো:
১. কাজের এবং লেনদেনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা: ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে এবং এসোসিয়েশনেও কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
২. দেশের ৮টি বিভাগেই ই-ক্যাবের কার্যক্রম বিস্তৃত করা: ই-ক্যাবের কার্যক্রম দেশের সকল বিভাগে বিস্তৃত করতে চান। এতে সারাদেশের উদ্যোক্তারা সম্পৃক্ত হলে দেশে উদ্যক্তার সংখ্যা বাড়বে এবং বেকারত্ব কমবে। বেশি বেশি ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততা আসলে প্রয়োজনীয় নীতিমালাগুলোও তাড়াতাড়ি হবে।
৩. অনলাইন উদ্যোক্তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও সম্পর্ক উন্নয়ন: সারাদেশের ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে কাজ করবেন। নতুন উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করে তাদের ব্যবসায়িক উন্নয়নে সহায়তা করবেন।
৪. স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামঃ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ধারাবাহিক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করবেন।
৫. ডেডিকেটেড ই-কমার্স হেল্প ডেস্ক প্রতিষ্ঠা: ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড হেল্প ডেস্ক প্রতিষ্ঠা করবেন যা ই-কমার্স ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।
সৈয়দ উছওয়াত ইমাম বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আমাকে এতটুকু পথ পাড়ি দিয়ে আসার সামর্থ্য দিয়েছেন। আমার চাকরি এবং উদ্যোক্তা জীবনের ১৫ বছরের বেশী অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাদের একজন হয়ে কাজ করতে চাই। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ই-ক্যাবকে বাংলাদেশের ই–কমার্সের ‘সমাধান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।"
তিনি আরও বলেন, "আমি আপনাদের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করছি। ইন শা আল্লাহ, সবাই ভালো থাকবেন এবং আমাদের ই-কমার্সকে ভালো রাখবেন।"
সৈয়দ উছওয়াত ইমামের প্রার্থিতা ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার অভিজ্ঞতা, প্রতিশ্রুতি এবং নেতৃত্ব ইক্যাবের কার্যক্রমকে আরও উন্নত ও কার্যকর করবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে ই-কমার্স খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সংযোগ স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।