প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের অগ্রগতিতে অভিভূত হয়েছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান। ‘পথে পথে’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে, তিনি দেশজুড়ে গ্রাহক, মাঠ পর্যায়ের কর্মী, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে সরাসরি কথা বলার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের সাথেও মতবিনিময় করছেন।
আলোচনার সময় তরুণরা ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কীভাবে উপার্জন করা যায়, দক্ষতা অর্জন ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণে ইন্টারনেটের ভূমিকা, ভবিষ্যতের প্রযুক্তি কেমন হবে, এবং প্রযুক্তি-নির্ভর বিশ্বে কাজের প্রকৃতি কেমন হবে - এসব বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তরুণদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাওয়ার বড় উদাহরণ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার দয়াল চন্দ্র বর্মন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইংরেজিতে কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন কৃষক পরিবারের সন্তান দয়াল। বলরামপুর ইউনিয়নের অনেক তরুণ এখন তাকে অনুসরণ করছে। মাধ্যমিক পড়াকালীন জীবন কিছুটা কঠিন হলেও, প্রত্যন্ত গ্রামে থেকেই প্রযুক্তির সাহায্যে দয়ালের এই সাফল্য। এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণদের জানা ও শেখার আগ্রহ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে নতুন কিছু করার ইচ্ছা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। দয়ালের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আসলে শেখার জন্য শহর-গ্রাম কোনো বিষয় না। দামি ডিভাইস ছাড়াও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া যায়, তার উদাহরণ দয়াল। দয়ালকে দেখে দেশের তরুণ প্রজন্ম সম্পর্কে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। সংযোগ কীভাবে একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে এবং সেই মানুষের মাধ্যমে কীভাবে একটি সমাজ পরিবর্তিত হতে পারে, তার বড় উদাহরণ দয়াল।”
তিনি আরও বলেন, “দয়াল শুধু ইংরেজিতে কথা বলেই না, বরং তার চিন্তাভাবনাও অনেক গভীর। আমি নতুন করে শিখেছি নেতৃত্ব কাকে বলে, অনুসারী কারা এবং কঠোর পরিশ্রমের অর্থ কী।”
‘পথে পথে’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত মাস থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় মতবিনিময় করছেন ইয়াসির আজমান। ব্যবসায়িক উন্নতির পাশাপাশি সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে দেশের তরুণদের হাত ধরেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে উঠবে। তাই তরুণ প্রজন্ম যেন ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করে তাদের কর্মসংস্থান করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারে, এ জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে কোম্পানিটি।