সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন না। সব মিলিয়ে প্রকৌশল ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটের পাশাপাশি রুয়েট, চুয়েট, কুয়েট ও ডুয়েটের শিক্ষকরাও এই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি আন্দোলনে শরিক হয়েছে শাবিপ্রবি, হাবিপ্রবি, মাভিপ্রবি, পবিপ্রকি, নোবিপ্রবি, যকিপ্রবি, পাবিপ্রবি, বশেমুরবিপ্রবি, রাবিপ্রবি, বিডিইউ, বশেফমুবিপ্রবি, চাঁবিপ্রবি, সুবিপ্রবি, ববিপ্রবি, জাজবশেমুরবিপ্রবি, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, বিভিন্ন কমিটির সভা বর্জন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধসহ ১০টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে কর্মসূচি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনের নিচে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
রোববার (৩০ জুন) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মোর্চা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
এর আগে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৩ মার্চ প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। কিছু কর্মসূচি পালনের পর, ৪ জুন তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে। এরপরও দাবির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না দেখে, গত সপ্তাহে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী টানা তিনদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
এতদিন কর্মবিরতি পালিত হলেও চলমান পরীক্ষাগুলো এর আওতার বাইরে ছিল। কিন্তু আজ থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন শিক্ষকেরা।