ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত জেলা ও উপজেলা আইসিটি অফিসারদের সংযুক্তি বাতিল করে তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ দেন।
সোমবার রাতে আইসিটি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পৃথক ৮টি অফিস আদেশে মোট ১১৭ জন কর্মকর্তাকে নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে দৈনিক বণিক বার্তা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর: নিজ কার্যালয় ফাঁকা রেখে ঢাকায় অফিস করছেন ৮৭ জেলা-উপজেলা কর্মকর্তা”। প্রতিমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি এই নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে কারিগরি সহায়তা নিশ্চিতকরণ, সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো, অবকাঠামো নিরাপত্তা বিধান, রক্ষণাবেক্ষণ, বাস্তবায়ন, সম্প্রসারণ মান নিয়ন্ত্রণ এবং কম্পিউটার পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-সার্ভিস নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ৩১ জুলাই, ২০১৩ তারিখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর গঠন করে।
মাঠ পর্যায়ে আইসিটি অফিসারদের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তারা সরাসরি জনগণের সাথে কাজ করেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল পৌঁছান। মাঠ পর্যায়ের আইসিটি অফিসাররা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদান করেন এবং স্থানীয় জনগণকে প্রশিক্ষণ দেন। তারা সরকারি সেবা ডিজিটালাইজেশনে কাজ করেন। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং নীতিনির্ধারণে সহায়তা করেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের ফলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে আইসিটি অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তারা তাদের দক্ষতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে উন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে রূপান্তরিত করবেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক দৈনিক বণিক বার্তার রিপোর্টারকে প্রতিবেদনটি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানান।