প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর কর্মমুখী শিক্ষায় উৎসাহিত করতে প্রথম ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড শুরু হয় গত বছরের ১৫ মার্চ। চ্যাম্পিয়ন হয়ে লাখপতি হওয়ার এই প্রতিযোগিতায়, শিক্ষার্থীরা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, বিগ ডাটা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা এবং গণিত (STEAM) বিষয়ে নিজেদের সেরা প্রতিভা প্রদর্শন করছেন।
আগামী ৬ জুলাই শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অনলাইনে ও বিভাগীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। চূড়ান্ত পর্বে সকাল ৯টা থেকে ৮টি বিভাগে ২৫০০ প্রতিযোগী কুইজে অংশগ্রহণ করবেন। নিবন্ধিত ৫৫,৭৫০ জনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন তারা। কুইজ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি থাকবে প্রজেক্ট প্রদর্শনী, যেখানে ২,২২৭টি প্রজেক্টের মধ্যে প্রায় ৫০০টি প্রজেক্ট চূড়ান্ত পর্বে প্রদর্শিত হবে। দুপুর ৩টা থেকে বিচারকরা সেরা প্রজেক্টগুলো নির্বাচন করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এবং আইটেসারেক্ট টেকনোলজির উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ছয়টি গ্রুপে কুইজ ও প্রজেক্ট উপস্থাপন পর্ব ইতিমধ্যেই অনলাইনে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ও মাদ্রাসা থেকে মোট ৩১,২৮৪ জন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে পলিটেকনিকের দলগুলো প্রকল্পে এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কুইজে সেমিফাইনালে চমকপ্রদ ফলাফল করেছে।
আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক নাইমুল হাসান সাব্বির জানান, প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উপদেষ্টা প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়াও, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
আয়োজকরা জানান, শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি মানবিক ও দায়িত্বশীল হতে সহায়তা করাও এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। বিজয়ীদের মধ্যে সেরা প্রকল্প উপস্থাপক ছয়টি দল পাবে ২ লাখ টাকা এবং প্রত্যেক কুইজ চ্যাম্পিয়ন পাবেন ৫০ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি গত বছরের ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সৌমিত্র শেখর দে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. ভিনসেন্ট চ্যাঙ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাহাদত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. দীপ নন্দী, বারডেম কনসালটেন্ট ড. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ, এডিএন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ আসিফ মাহমুদ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের হেড অব আইটি মোঃ মুশফিকুর রহমান।