যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক উজ্জ্বল অনু চৌধুরী এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী সম্পাদিত ‘Blended Learning in Smart Education: Perspectives from South Asia’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে স্মার্ট শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস লিমিটেডের হেড অব এইচআর জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বিডিজবস-এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর।
এই প্যানেল আলোচনা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়। প্যানেল আলোচনার সঞ্চালনা করেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার জনাব আনীর চৌধুরী। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. এ কিউ এম শফিউল আজম ‘স্মার্ট অর্থনীতির জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক উপস্থাপনা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এই শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়িয়ে বিশ্ববাজারের উপযোগী উৎপাদনশীল অর্থনীতি তৈরির জন্য কাজ করছে সরকার।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, উচ্চশিক্ষায় গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে সরে এসে বিশেষায়িত দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে এবং শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গিতে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে রূপান্তর করতে হবে যাতে বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে শিক্ষা, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রিকে একসাথে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারের উপযোগী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা যাবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আজ যা শিখছে তা ভবিষ্যতে প্রয়োজন নাও হতে পারে, তাই নতুন কিছু শেখার মানসিকতা থাকতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সাথে শিক্ষার সমন্বয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, একাডেমিক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।