পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রতলে গত ২০ এপ্রিল ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার দুই মাস আট দিন পর সিমিউই-৫ কুয়াকাটা সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন পুনরায় সচল হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে কুয়াকাটা হয়ে বাংলাদেশে যুক্ত হওয়া এই ক্যাবল দিয়ে ডেটা সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মেদ।
তিনি জানান, সিমিউই-৫ সেবা বন্ধ থাকার সময় কক্সবাজার সিমিউই-৪ এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়েছিল। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সিমিউই-৫ এর গ্রাহকদের কুয়াকাটা সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের সাথে পুনরায় সংযুক্ত করা হবে, ফলে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হবে।
অন্যদিকে, মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান জানান, বিচ্ছিন্ন হওয়া সিমিউই-৫ ক্যাবলটি মেরামত শেষে শুক্রবার সকাল থেকে সম্পূর্ণ কার্যকর হয়েছে। মেরামত কার্যক্রম শেষ হতে দুই মাসেরও বেশি সময় লেগেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি প্রতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ৬ টেরাবাইট গতির ইন্টারনেট সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে দেশের দ্বিতীয় কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়। তবে, ২০ এপ্রিল রাতে কুয়াকাটায় স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে আকস্মিকভাবে ক্যাবলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে কুয়াকাটা-সিঙ্গাপুরের মধ্যেকার সব ডেটা আদান-প্রদান বন্ধ ছিল। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৪ এবং অন্যান্য বিকল্প ব্যবহার করে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল রাখা হয়।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ মূলত গভীর সমুদ্রের মধ্য দিয়ে আসা দুটি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আসে। প্রথম সাবমেরিন কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে এবং দ্বিতীয়টি কুয়াকাটায়। দেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বর্তমানে ৫ হাজার জিবিপিএস, যার মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) মাধ্যমে স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই ৬ থেকে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে।