বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবার ৩টি ব্যাচের মাধ্যমে আরও ৬০ জন ফ্রিল্যান্সারকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (বিপিসি)-এর সহায়তায় পরিচালিত হয়।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন বাক্কোর সহ-সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম। এসময় অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
বাক্কোর নির্বাহী পরিচালক লে: কর্নেল (অব:) মো: মাহতাবুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় সকল প্রশিক্ষণার্থীদের অভিনন্দন জানান বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানভীর ইব্রাহীম বলেন, “বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের সহায়তায় আমরা এ বছরসহ পরপর তিনবার সফলতার সঙ্গে ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। ২০২২ সালে ১০টি ব্যাচে ১০৬ জন, ২০২৩ সালে ৬টি ব্যাচে ৯০ জন, এবং এ বছর ৩টি ব্যাচে ৬০ জনসহ সর্বমোট ২৫৬ জন ফ্রিল্যান্সারকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘ এ যাত্রায় নতুন নতুন উদ্যোক্তা যুক্ত হয়েছেন, যারা একসময় বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আন্তর্জাতিক সেবা দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আমাদের এ প্রোগ্রামে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এ বছর যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্য থেকেও আমরা আরও অনেক উদ্যোক্তা পাবো বলে আশা করি। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আজ আপনারা আনুষ্ঠানিক সনদ গ্রহণ করছেন, তবে বাক্কোর সাথে আপনাদের যাত্রা এখানেই শেষ নয়। আপনাদের মতো মেধাবী ফ্রিল্যান্সারদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তায় পরিণত হওয়া এবং পরবর্তীতে ব্যবসায় সম্প্রসারণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বাক্কো।”
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাক্কোর পরিচালক মেহেদী হাসান জুলফিকার, এমরাজিনা টেকনোলজিস-এর প্রতিষ্ঠাতা এমরাজিনা ইসলাম, ভাইজার এক্স লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল মোস্তফা, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি-এর চেয়ারম্যান ডঃ তানজীবা রহমান, এবং বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল-এর সহকারী পরিচালক মো: ফয়সাল খান।
প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “ফ্রিল্যান্সার টু অন্টারপ্রেনর” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বাক্কো ও বিপিসি। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “টুগেদার উই গো ফারদার”।