ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানালেন পলক স্মার্ট নাগরিক গড়তে

মঙ্গলবার তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে “ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা” শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।

ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানালেন পলক স্মার্ট নাগরিক গড়তে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন আদর্শ অনুসারী হয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে তৈরি করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও, তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

মঙ্গলবার তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে “ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা” শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।

জুন মাস বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এই মাসেই ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’ বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৯ সালের এই জুন মাসেই বাংলার মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা ১৯৫২ সালে মায়ের ভাষা বাংলা অর্জন করেছি, ১৯৭১ সালে সার্বভৌমত্ব ও মহান স্বাধীনতা পেয়েছি এবং স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

পলক বলেন, দীর্ঘ ৭৫ বছরের গৌরবময় পথচলার ঐতিহাসিক এই যাত্রায় সকল সংকট ও সংগ্রামে সব সময় বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মায়ের ভাষা ও স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজকের অর্থনৈতিক মুক্তি, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছুই হয়েছে।

আরও পড়ুন:  ফ্রান্স বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “রাজনৈতিক স্বাধীনতা তখনই সফল হয়, যখন একটি দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করে। রাজনৈতিক মুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি তখনই টেকসই হয়, যখন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব সফল হয়। বাংলার মানুষের সেই রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদেরকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভিত্তি রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে সফল করার লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ঘোষণা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

SHARE

সব খবর

কপিরাইট © ২০২৪ TalkBarta দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা, ছবি ইত্যাদি কপি বা প্রকাশ করা কঠোরভাবে বেআইনি।