ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার লাইসেন্স পেতে সারা দেশে ব্যাপক আবেদন জমা পড়েছে। মাত্র ৮ মাসে বিটিআরসিতে ৬৬৯টি আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে বিটিআরসি বর্তমানে ৭টি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি থেকে আবেদন যাচাই করে লাইসেন্স প্রদানের জন্য বিবেচনা করছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে আবেদনগুলো পর্যালোচনা করছেন এবং নীতিমালা অনুসারে যোগ্য আবেদনগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বিবেচনা করছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিটিআরসি লাইসেন্স ইস্যু ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলআইএমএস) চালু করে, যা শ্রেণীভিত্তিক আবেদন গ্রহণ করে। ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত এই ৬৬৯টি আবেদন জমা পড়ে। এই আবেদনগুলোর মধ্যে বরিশাল বিভাগ, বরিশাল জেলা, চাঁদপুর সদর, রাউজান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ইপিজেড উপজেলা ও থানার আবেদন মূল্যায়িত হয়েছে। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসপিএবি লাইসেন্স কম দেওয়ার বিষয়টিকে যুক্তিযুক্ত বলেছে।
সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, নতুন লাইসেন্স কম দেওয়ার বিষয়টিকে তারা স্বাগত জানাচ্ছেন। বর্তমানে এই খাতে যত লাইসেন্স আছে, তা যথেষ্ট। ‘বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি ছিল আপগ্রেডেশন। যদি এটি উন্মুক্ত করা হতো, তাহলে খাতের ব্যবসায়ীরা লাভবান হতেন এবং সেবার মানও উন্নত হতো। একজন ব্যবসায়ী যদি তার ব্যবসা সম্প্রসারিত করতে না পারেন, তাহলে এক সময় তিনি এই খাতে আগ্রহ হারাবেন,’ তিনি উল্লেখ করেন।
এই পর্যায়ে লাইসেন্স দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পূর্বানুমোদনের জন্য যে কোম্পানিগুলোর নাম সুপারিশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, রাকা এন্টারপ্রাইজ, কম্পিউটার ডটনেট, আবির অনলাইন সিস্টেম, রিও কমিউনিকেশন, ফারহা ডটকম, মেটা অনলাইন এবং স্পিড নেটওয়ার্ক সলিউশন।