ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ, ডিজিটাল শিক্ষার সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের জন্য বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।
শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বিমসটেক রিজিওনাল কনসালটেশন অন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে সমাজ, অর্থনীতি এবং সুশাসন কাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটির প্রসার ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নত সেবার জন্য অসাধারণ সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তবে, ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতি সমাজে পরিবর্তন আনলেও এর ফলে ডিজিটাল বৈষম্য, সাইবার নিরাপত্তা এবং ডাটা প্রাইভেসির মতো চ্যালেঞ্জগুলি আমাদের সামনে চলে আসে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিমসটেক অঞ্চলে ১৭০ কোটি মানুষের বসবাস এবং এদের মধ্যে তরুণের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতি বছর লাখ লাখ নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হচ্ছে। তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল অ্যাক্সেস এবং শিক্ষার বৈষম্য রয়েছে।’
কাজী নাবিল আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে এবং ডিজিটাল সেবা দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা, ডিজিটাল শিক্ষা এবং ই-গভর্নেন্স সুবিধায় তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বিশেষ করে গ্রামের লোক অনলাইন সেবা পাচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এখানে প্রতিফলিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সবার জন্য ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত ভিশন পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করতে পারে।’
ডিজিটাল বিভাজন দূর করা, ডিজিটাল শিক্ষা বৃদ্ধি করা এবং শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করার জন্য বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।