স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের আওতায় আগামী ৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ৮-১০টি নিজস্ব আর্থ অবজারভেটরি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা স্যাটেলাইট স্থাপন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনার সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ অধিবেশনে দেয়া ১৮ মিনিটের বক্তব্যের শুরুতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের দিন বদলের গল্প’ শীর্ষক একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭২ সালে আইটিইউ সদস্যপদ গ্রহণ এবং ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগের ভিত্তি স্থাপন করেন। আর ২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু-১ কমিউনিকেশন এন্টারটেইনমেন্ট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের ৪০টি সহ ভারত, ভুটান ও নেপালসহ পার্শ্ববর্তী দেশের ২০টি স্যাটেলাইট টিভি পরিচালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ফ্রান্সের সাথে ইতিমধ্যে লেটার অব ইন্টেন্ড সই হয়েছে। এই স্যাটেলাইটটি সুরক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং শহর ও নগরায়নে ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আমরা ৪টি স্তম্ভের উপর কাজ করার নির্দেশনা পেয়েছি। আমাদের স্মার্ট নাগরিকরা শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষিত বা আর্থিকভাবে সচ্ছল না হয়ে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, সৃজনশীল, দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে গড়ে উঠবে। স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, স্বচ্ছ, ডিজিটালি আন্তঃসংযুক্ত। স্মার্ট সরকার হবে কাগজবিহীন, দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ; সরকারের সব সেবা থাকবে আমাদের স্মার্টফোনে। স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে বঙ্গবন্ধুর সেই বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক; যেখানে শহর-গ্রামের দূরত্ব, নারী-পুরুষের বৈষম্য থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্মার্ট অর্থনীতির সম্ভাবনার জায়গা হলো এখানে সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’, সেটিকে বিবেচনা করে আমরা সকল সংসদীয় আসনে বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ পরিবারের অন্তত একজন ছেলে বা মেয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়ে ভবিষ্যৎ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।“
বাজেট জিপিটি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, www.gbrainbd.ai এই ওয়েব ঠিকানায় গেলে এআই-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজেট সম্পর্কে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর এবং নির্দেশনা পাওয়া যাবে। আমরা ভবিষ্যতে স্মার্ট পার্লামেন্ট গড়ে তুলতে চাই।