বাংলাদেশের আইটি ও টেলিকম খাতে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী মালয়েশিয়ার সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে ব্যবসার বিস্তৃতি বাড়াতে এই ক্ষেত্রে রাজস্বসহ অন্যান্য কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ৭ নং ভবনের সপ্তম তলায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এই বিষয়টি উত্থাপন করেন।
বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে পলক বলেছেন, আমরা আশা করি রাজস্ব বোর্ড, বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের সহযোগিতা বিদ্যমান রেখে ব্যবসাবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের আইটি ও টেলিকম সেক্টরকে আরও উন্নত করতে পারব।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদক্ষ পরামর্শে আইটি ও টেলিকম খাত আজ আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের টেলিকম খাতকে স্মার্ট করণের মাধ্যমে আমাদের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে এবং অর্থনীতিকে স্মার্ট ও সমৃদ্ধ করতে চাই,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মালয়েশিয়ান কোম্পানিগুলি। নতুন করে রাজস্ব না বাড়িয়ে সেবার মান উন্নত হলে আইসিটি সেক্টরে নতুন খাত তৈরি হবে। এতে রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।’
এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও টেলিটকের বর্তমান বিভিন্ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।