সদ্য প্রকাশিত বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের কর মওকুফের সময়সীমা তিন বছর বাড়ানো হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ কাওরানবাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা আরো উল্লেখ করেছেন যে, এই খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি), এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবির সভাপতি মো: ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা উপস্থিত ছিলেন। এই নেতারা তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বাজেট প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, 'বেসিসের বাজেট প্রস্তাবনা বিবেচনা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর মওকুফের সময়সীমা তিন বছর বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমস্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই কর মওকুফ শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে না; স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি আরো বলেন, 'বর্তমানে দেশের ক্লাউড সার্ভিস এবং ওয়েব হোস্টিংয়ের ২০ মিলিয়ন ডলার বাজারের মাত্র ১০ শতাংশ দেশীয় উদ্যোক্তাদের হাতে। নতুন করে এই খাতকে করের আওতায় আনা হলে দেশীয় উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবে। অন্যদিকে হাই-টেক পার্কের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা তুলে নেয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট খাতের বিনিয়োগকারীদেরকে সব ক্যাটাগরির আমদানির ওপর এক শতাংশ মূল্য দিতে হবে। ফলে হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’ বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেছেন, 'তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর মওকুফ নিঃসন্দেহে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নতুন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অবদান রাখবে।’ তিনি আরো বলেন, 'অন্যদিকে বাজেটে ক্লাউড সার্ভিস, আইটি প্রসেস আউটসোর্সিং, মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশন এবং এনটিটিএস সেবার মতো খাতগুলো থেকে কর মওকুফের সুযোগ বন্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। অন্যদিকে মোবাইলের সিম কার্ড ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় ইন্টারনেট সেবার ব্যয় বাড়বে।’