গত কয়েকদিন ধরে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও শেরপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রে বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে বন্যা নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, বিগত বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট (টেলি-নেট) সেবা বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যৌথ মনিটরিং টিম গঠনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এই টিমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি’র পাশাপাশি অপারেটর, আইএসপি এবং সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে এনটিটিএন (ফাইবার), আইআইজি ও টাওয়ারকো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগের সময় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মোবাইল চার্জিং এর জন্য পর্যাপ্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিগত দুর্যোগগুলোতে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বন্যা কবলিত এলাকার গ্রাহকরা আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না, এমনকি সাহায্য চাওয়ার জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগও করতে পারছে না। একদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অন্যদিকে বিটিএস সমূহে নেটওয়ার্ক না থাকা এবং মোবাইল ফোনের চার্জ না থাকার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। দুর্যোগকালে বেশিরভাগ অঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন, এমনকি সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় বিটিএসে পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য যে আইপিএস গুলি রয়েছে তার পাওয়ার ক্যাপাসিটি দিন দিন কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত জেনারেটর না থাকা এবং দুর্যোগের সময় টাওয়ারে জেনারেটর পৌঁছানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ নির্দেশনা দিয়েছেন, তাই আজ বা আগামীকালকের মধ্যে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসিতে একটি প্রস্তুতিমূলক এবং মনিটরিং টিম গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। প্রয়োজনে আপৎকালীন সময়ে সামাজিক তহবিলের অর্থ থেকে সহযোগিতা করা যেতে পারে।