দেশে মোবাইল ব্যাংকিং দিন দিন আরও জনপ্রিয় হচ্ছে। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এই মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন সহজেই তাদের পরিবারকে টাকা পাঠাচ্ছেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সম্প্রতি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছে। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এমএফএসের মাধ্যমে দেশে ৫৯০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছিল। আর মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এসেছে ৮১৩ কোটি টাকার প্রবাসী আয়। অর্থাৎ এক মাসে এমএফএসের প্রবাসী আয় বেড়েছে ২২৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে লেনদেন বেড়েছে ১৮ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। আর মার্চ মাসে এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মার্চ মাসে বেশি লেনদেন হয়েছে ১৮ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে এমএফএসগুলোর মাধ্যমে ক্যাশ ইন হয়েছিল ৩৯ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। আর মার্চ মাসে ক্যাশ ইন হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মার্চ মাসে বেশি ক্যাশ ইন হয়েছে ৬ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্যাশ আউট হয়েছিল ৩৭ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। আর মার্চ মাসে ক্যাশ আউট হয়েছে ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মার্চ মাসে বেশি ক্যাশ আউট হয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির হিসাবে লেনদেন হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। আর মার্চ মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৪০ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মার্চ মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির হিসাবে লেনদেন বেশি হয়েছে ৫ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ হয়েছে ২ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার। আর মার্চ শেষে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৪০ লাখ ১ হাজার ৪১২। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ২৫ লাখ ২২ হাজার ৭৮৭।
নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১৩ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ৩২ জন এবং নারী গ্রাহক সংখ্যা ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৯ জন।
এসব হিসাবের মধ্যে শহরের হিসাব সংখ্যা ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার এবং গ্রামের হিসাব সংখ্যা হলো ১২ কোটি ৬২ লাখ ৭১ হাজার ৪১২।